সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় একটি গুদাম থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যের বিপুল পরিমাণ পণ্যের মোড়ক অবৈধভাবে পরিবর্তন করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা নোমান হোসেনকে (৩৫) আড়াই মাস পর গ্রেফতার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় প্রশাসন নোমান হোসেনের গুদাম থেকে টিসিবির বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করে। এ সময় গুদামের মালিক নোমান হোসেন পালিয়ে যায়। তার বাড়ি জগন্নাথপুরের শেষ সীমান্তে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের লালাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম হালিম উল্লা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নোমান হোসেন আলীপুর বাজারে টিসিবির পণ্য মজুদ করে অসৎ উদ্দেশে মোড়ক পরিবর্তন করে কালোবাজারে বিক্রির জন্য রেখেছিলেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসির আরাফাত ও জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ আলীপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে টিসিবির মোড়ক পরিবর্তনের প্রমাণ পান। গুদামের কর্মচারীর স্বীকারোক্তি অনুসারে টিসিবির ৪৯ কার্টন পুষ্টি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল এবং ৫০ কেজি ওজনের ৭৩ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ বলেন, স্থানীয় যুবলীগে নোমান হোসেনের কোনো পদ নেই। তবে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। হবিগঞ্জ–১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহনেওয়াজের (মিলাদ গাজী) ঘনিষ্টজন তিনি।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর রাজিব রহমান জানান, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে বুধবার নিজ বাড়ি থেকে প্রধান আসামী নোমান হোসেন কেগ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টিসিবির পণ্য জব্দ করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল এবং জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
Leave a Reply